জয় রাম
ঠাকুর কেশব বোস এর সঙ্গে একবার
পুরীধামে আসেন।
শ্রী শ্রী রামঠাকুর ও কেশব বাবু রাতে একই ঘরে থাকতেন।
ঠাকুর বিছানায় উপবিষ্ট হয়ে ভাবাবিষ্ট অবস্থায় রাত্রি কটাইয়া দিতেন।
শ্রীশ্রী ঠাকুরের আহারের প্রয়োজন ছিল না।
অন্য দিনের মত কেশব বাবু তাহার বিছানায় তান্দ্রাচ্ছন্ন।
গভীর রত্রি। চারিদিক নিস্তব্ধ।
দরজা খোলার মৃদু শব্দে বাবুর তন্দ্রা ছুটিয়া যায়।
তিনি দরজার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে একটি অত্যাশ্চর্য দৃশ্য তাহার নজরে আসে।
তিনি দেখেন বন্ধ দরজা আপনা হইতে খুলিয়া গেল। সমস্ত ঘরখানা একরূপ মৃদু আলোকে আলোকিত।
ঘরে প্রবেশ করিলেন রূকেশবপবতী সালঙ্কারা এক মাতৃমূর্তি।
কেশব বাবু বুঝিলেন এই মাতৃমূর্তির অঙ্গ দ্যুতিই মৃদু আলোকের উৎস। দেবী মূর্তির হস্তে সুবর্ণ থালায় নানা বিধ খাদ্য বস্তু সুসজ্জিত।
ধীর পদক্ষেপে মাতৃমূর্তি ঠাকুরের শয্যা পাশে উপস্থিত হইয়া সস্নেহে বলিলেন
“এই ধামে অভুক্ত থাকা যায় না।
তুমি অভুক্ত আছ।
তোমাকে খাওয়াইতে আসিলাম”।
মাতৃমূর্তি ঠাকুরকে স্বীয় হস্তে বালক পুত্রবৎ খাওয়াইতে লাগিলেন। ঠাকুরও বালকের ন্যয় নিঃশব্দে আহার করিয়া চলিলেন। মাতৃমূর্তি ঠাকুরকে থালার সম্পূর্ণ খাদ্য দ্রব্যগুলি ভোজন করাইয়া নিজের পরিহিত বস্ত্রের আঁচলে ঠাকুরের মুখ মুছাইয়া দিয়া ধীর পদে নিষ্ক্রান্ত হইয়া গেলেন।
কেশব বাবু সম্পূর্ন দৃশ্যটি অবলোকন করিয়া ঠাকুরের নিকট যাইয়া এর মর্ম্ম জানিতে চাহিল।
ঠাকুর জিজ্ঞেস করিলেন “ আপনি সব দ্যাখছেন”?
কেশব বাবু বলিলেন “ হাঁ আমি জেগেই ছিলাম,
সব দেখেছি”।
ঠাকুর পুনরায় জিজ্ঞেস করিলেন “আপনি আমারেও দ্যাখছেন’? কেশব বাবু বলিলেন “ হাঁ আপনাকে তো একটি বালকের মত দেখলাম”।
ঠকুর তখন বলিলেন “
আপনে মহা ভাগ্যবান।
ইনি এই ধামের অধিষ্ঠাত্রী মাতা বিমলা দেবী।
আমি কিছু খাই নাই দেইখ্যা আমারে খাওয়াইয়া গেলেন। যান এখন শুইয়া পড়েন গিয়া”।
জয় রাম জয় গোবিন্দ
জয় শ্রীশ্রীরামঠাকুর।
...........................................................................
প্রাণ গোবিন্দ প্রাণ গোপাল—কেশবঃ মাধবঃ দ্বীনঃদয়াল
দ্বীনঃদয়ালু প্রভু দ্বীনঃদয়াল পরমদয়ালু প্রভু পরমদয়াল
গুরুর নামোঃ বৈ কেবলম্ — গুরুই কৃপাহি্ কেবলম্।।।।
জয়রাম
পেজ টি রিড করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
“এই ধামে অভুক্ত থাকা যায় না। তুমি অভুক্ত আছ। তোমাকে খাওয়াইতে আসিলাম”।
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
June 21, 2021
Rating:
No comments:
sri sri Ramthakur