বেদবানী প্রথম খণ্ড।

 ঔঁ নমঃ ভগবতে শ্রী শ্রী রামচন্দ্রায় নমঃ

ঔঁ নমঃ ভগবতে শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণায় নমঃ

জয় রাম জয় গুরু জয় গোপাল জয় সত্যনারায়ণ জয় গোবিন্দ গুরু কৃপাহী কেবলম্

বেদবানী প্রথম খণ্ড।




সংসারকে কর্ত্তাভিমানীর আবরণে আখ্যা জানিয়া নিত্যকর্ম্ম প্রারব্ধ দ্বারা সম্পাদন করিয়া সমাপ্ত করিবে। ভগবান দরূণ ভিন্ন কোন কর্ম্ম সৃষ্টি করেন নাই। স্বভাব মোচন করাই ধর্ম্ম। এই অনুষ্ঠানকে যজ্ঞ বলে।

[] শ্রী শ্রী রামঠাকুর []
[] বেদবাণী -১ম-খণ্ড-২৭৯ []

সংসারকে কর্ত্তাভিমানীর আবরণে আখ্যা জানিয়া নিত্যকর্ম্ম প্রারব্ধ দ্বারা সম্পাদন করিয়া সমাপ্ত করিবে। ভগবান দরূণ ভিন্ন কোন কর্ম্ম সৃষ্টি করেন নাই। স্বভাব মোচন করাই ধর্ম্ম। এই অনুষ্ঠানকে যজ্ঞ বলে।
(বেদবাণী -১ম-খণ্ড-২৭৯)
( শ্রী শ্রী রামঠাকুর)

যদি নিজের হয় তবে অন্য কেহই নিতে পারে না৷ যদি নিজের না হয় তবে কি করিয়া রাখিবে? পরের বস্তুর প্রতি কর্ত্তৃত্ব রাখার ফল কি?
[ শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর ]
[ বেদবাণী ১ম খণ্ড/ ৩০১ ]

জয়রাম
সংসার মায়ামুগ্ধ হইয়া জীবের শুভাশুভ কর্ম্মপাশে বদ্ধ হইয়া শান্তি অশান্তি দন্ডে দন্ডী হইয়া থাকে। অতএব সর্ব্বদা ভগবানের নিকট থাকিতে চেষ্টা করাই জীবের মোক্ষ ধর্ম্ম।
বেদবাণী-- ১ম খন্ড/৩০৮
সংসার আধিব্যাধি যোগে পরিচালন হইতেছে। সকলই মায়ার দ্বারা ঘটিত,চিত্তেতে চঞ্চলতা অধিষ্ঠান হইয়া জীবনকে কর্ত্তৃত্বাভিমানে সুখ দুঃখের ভাগী করিয়া রাখে। ইহা হইতে ত্রাণের একমাত্র ভগবান বৈ আর কিছুই নাই ।সহিষ্ণুতার শক্তির আশ্রয় নিয়া সর্ব্বদা নাম করিবে ।ধীর হইয়া যদি ধৈর্য্য ধরিতে না পার তবে নাম নিয়া পরিয়া থাকিবে ।যাহা যাহা কর্ত্তব্য বোধ কর করিয়া যাইবে,অচিরেই ভগবান পবিত্র সম্পদে অধিরুঢ় করিবেন, সন্দেহ নাই ।নামই সত্য এই নাম বৈ আর কিছুই নাই ।
[ শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর ]
[ বেদবাণী ১ম খণ্ড /২৪৩ ]

...........................................................................................................................................................................................................

বেদবানী
প্রথম খন্ড -(১ )
যাহা ভগবান করেন তাহার হাত ছাড়ান জীবের সাধ্য নাই।


বেদবানী
প্রথম খন্ড -(২ )
প্রারব্ধ সূত্রে যাহা যখন যার উপস্থিত করে তার তাহাই ভোগ হয় ,ইহার জন্য অনুতাপ এবং প্রয়াস করিতে নাই.

বেদবানী
প্রথম খন্ড -(৩ )
সংসারের তরঙ্গে লক্ষ্য রাখিয়াই জীব বদ্ধ হয়

১০
১১
১২
১৩
১৪
১৫
১৬
১৭
১৮
১৯
২০
২১
২২
২৩
২৪
২৫
২৬
২৭
২৮
২৯
৩০
৩১
৩১
৩২
(৩৩) সমবুদ্ধির দ্বারা দৈহিক গুণজাত প্রারব্ধ ভোগদন্ড ক্ষয় করিতে হয়। ভোগ মোক্ষ হইলেই জীবন দশা প্রাকার মুক্ত হইয়া মানবত্ব চলিয়া যায়। ব্রজবাসী যোগে নিত্য সেবাধীকারীর শক্তির সাহায্যে নিত্যসেবার যোগ লাভ করিতে পারিবেন। যখন যে অবস্থায় যে যে বিষয় আধিপত্য করিয়া মন বুদ্ধিকে চঞ্চল করে তাহা ক্রমশঃ সহিষ্ণুতা শক্তির আবরণ করিয়া অভ্যাসবশে রাখিতে চেষ্টা করিবেন, বিফলতা থাকিবে না। মনের শান্তি সুখাদি যাহা যোগদান করেন সকলি অনিত্য, অস্থায়ী, ভ্রান্তিমাত্র জানিবেন। সর্ব্বদা কেবল পতিগত হইয়া তাহারই উন্মুখ পৃষ্ঠভঙ্গ বর্জ্জিত হওয়াই জীবের পরম ধর্ম্ম।
৩৪
৩৫
৩৬
৩৭
৩৮
৩৯
৪০
৪১
৪২
৪৩
৪৪
৪৫
৪৬
৪৭
৪৮
৪৯
৫০
৫১

৫২,বেদবাণী প্রথম খণ্ড
.
(৫২) কৃষ্ণের পুত্রাদি যদু বংশকে তাহাদের প্রকৃতির ভোগের নিমিত্ত নিষেধ বিধান কৃষ্ণ হইতে হয় নাই। তাহাদের প্রবৃত্তির উৎসুকের কর্ম্ম সর্ব্বথাই করিয়াছিল। যথাসময়ে তাহারা মুক্তিলাভ করিয়াছিল। তাহার কারণ যদুবংশীয়গণ নিশ্চয় কৃষ্ণই কর্ত্তা জানিত। এইজন্য তাহাদের কর্ত্তৃত্বাভিমান ছিল না। ইহাই সাধন। আত্মাই দেহের কর্ত্তা, প্রারব্ধ ভোগই দেহের কর্ম্ম, এই জ্ঞানে অভিমানী হইয়া অতি দুরাচারীও নিত্যমুক্তি লাভ করিতে পারে। কর্ত্তৃত্বভাবে অহং বুদ্ধি দ্বারা নিজ ক্ষমতা চারণ দ্বারা যে সমস্ত সৎ অসৎ কর্ম্ম সমাধা করে তাহার দ্বারা কর্ত্তৃত্বাভিমানী হইয়া কর্ম্মপাশে বন্দী হয়, কর্ম্মমুক্ত হয় না। অতএব, এটি করিব, এটি করিব না, করিয়া যে সকল কর্ম্মে নিযুক্ত হইবে, তাহা সফল হয় না। প্রারব্ধে যে আছে তাহার ভোগ সেই ইন্দ্রিয়গণকে দিয়া, লক্ষ্য সহিষ্ণুতার দিকে রাখিয়া গুরুর উপর ন্যস্ত করিয়া নিয়ত প্রাণের নিকট থাকিতে সর্ব্বদা চেষ্টা করিবেন। যখন যে ভোগের বেগ সহ্য না হয়, তাহা করিলেও দোষ থাকে না।

৫৩
৫৪
৫৫
৫৬
৫৭
৫৮
৫৯দেহ "
যে পর্যন্ত দেহ থাকে সেই পর্যন্ত কষ্ট নিবারণের জন্যই চেষ্টা। করা,জীবের ধর্ম্ম।প্রত্যেক শরীরের মধ্যে ভগবান সুখময় বিরাজ করেন,ভ্রান্তিবশত:ই কর্ত্তৃত্বাভিমানী সূত্রে নানারকম দেখিতে পায়।অতএব যাহাতে অন্তকাল পর্যন্ত কষ্ট না পায় তাহারইই চেষ্টা যথাসাধ্য করিতে হয়।(১/৫৯)
৬০
৬১
৬২
৬৩



৬৪মনের স্থির করিবার বিশেষ কোন প্রয়োজন নাই। মনের স্বভাবই স্থির, কর্ত্তৃত্বাভিমান সূত্রে চঞ্চল বাসনায় আলোড়িত হইয়া নানান উপসর্গ এ বন্টন করিয়া দেয়, তাতেই লোক বিমুগ্ধ হইয়া সুখ লাভের প্রত্যাশায় নানাবিধ চেষ্টা করে বলিয়াই আরো চঞ্চল ও উপদ্রব সংযোগ হয়। পতিব্রতা ধর্ম্মকে আশ্রয় করিয়া শরণে নিমগ্ন থাকিতে অভ্যাস করিতে করিতে এবং পতি প্রতি রসের নিমিত্ত স্বীয় কর্ম্মজনিত অপরাধ ক্ষমা প্রার্থনা করিতে করিতে চঞ্চল কার্য্য যে সকল প্রকৃতির সঙ্গ হয় সেই প্রকৃতির ভাবের নিকট হইতে দূরে থাকিবার চেষ্টা করিতে করিতে চিত্ত সঙ্কোচ হয়, পরে মন স্বস্থানে প্রতিষ্ঠা হইয়া থাকে। তাহাতে সুযোগ সুখ অপেক্ষা বেশী সুখ হয়।
বেদবাণী - প্রথম খণ্ড - ৬৪ - নং পত্রাংশ
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেব।


৬৫বেদবাণী প্রথম খণ্ড - ৬৫ নং পত্রাংশ
.
.
সংসারের পথ বহুবিধ রকমে বন্ধন মুক্তির কারণ হয়। তন্মধ্যে দুইটি পথ প্রধান, যাহা দ্বারা উদ্ধার হয়। সকলই অনন্য চিন্তার দ্বারা পরিপুষ্ট হইয়া থাকে। প্রথমটি অকর্ত্তা হইয়া চিন্তা ভাবনা বর্জ্জনে যখন যে অবস্থা উপস্থিত তাহার বেগ সহ্য করা। দ্বিতীয়টি সর্ব্বদা ভগবানকে সখ্য, দাস্য বাৎসল্য কি মধুর ভাবের যে কোন ভাবের একটিতে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে পাবার ঐকান্তিক বাসনায় দিবানিশি সর্ব্বত্রে সকল অবস্থায়ই পাবার লালসা করিয়া থাকিতে হয়। সকল দেবতা প্রভৃতি জীবগণের নিকট অপরাধ ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া ভগবৎ কৃপা ভিক্ষা করিতে হয়। এই দুইটি পথই উদ্ধার করিয়া ভগবৎ সাক্ষাৎ প্রাপ্ত হয়। জন্ম মৃত্যু যায়।


৬৬


৬৭বেদবাণী প্রথম খণ্ড - ৬৭ নং পত্রাংশ
আলস্য করিয়া হেলা করিতে নাই।

৬৮বেদবাণী প্রথম খণ্ড - ৬৮ নং পত্রাংশ
সংসারে নিত্যযজ্ঞ করাই প্রয়োজন। শ্বাস প্রশ্বাস না টানা না ফেলার অবস্থায় হাপ না হয় কষ্ট না হওয়া পর্য্যন্ত যতটুকু পর্য্যন্ত রাখা যায় ততটুকু সময় রাখিয়া পুনঃ পুনঃ মাথা হইতে মূলগুহ্য পর্য্যন্ত মেরুদন্ডের মধ্যে বিদ্যুতের লটার মতন চিন্তা করিয়া নিত্য কার্য্য করিতে অভ্যাস করিবেন। এতৎ চিন্তাই মনকে সুস্থ করিয়া নিবেন।

৬৯বেদবাণী প্রথম খণ্ড - ৬৯ নং পত্রাংশ
ভগবানের উপর সকল ভার দিয়া কার্য্য করিয়া যাইবেন, প্রারব্ধ কেটে যাবে।
৭০
৭১
৭২
৭৩
৭৪
৭৫
৭৬
৭৭
৭৮
৭৯
৮০
৮১
৮২
৮৩
৮৪
৮৫
৮৬
৮৭
৮৮
৮৯
৯০
৯১
৯২
৯৩
৯৪
৯৫
৯৬
৯৭
৯৮
৯৯
১০০যাহা করিবে একটা স্থিরভাবে করিবে। অব্যবস্থিত চিত্তে কোনটাই হয় না, একটা ধরিয়া থাকিলেই ভাল হয়।
(১/১০০)
১০১
১০২
১০৩
১০৪
১০৫
১০৬
১০৭
১০৮
১০৯
১১০
১১১
১১২
১১৩
১১৪
১১৫
১১৬
১১৭
১১৮
১১৯
১২০
১২০
১২১
১২২
১২৩
১২৪
১২৫
১২৬
১২৭
১২৮
১২৯
১৩০
১৩১
১৩২
১৩৩
১৩৪
১৩৫
১৩৬
১৩৭
১৩৮
১৩৯
১৪০
১৪১
১৪২
১৪৩
১৪৪
১৪৫
১৪৬
১৪৭
১৪৮
১৪৯
১৫০
১৫১
১৫২
১৫৩
১৫৪
১৫৫
১৫৬
১৫৭
১৫৮
১৫৯
১৬০
১৬১
১৬২
১৬৩
১৬৪
১৬৫
১৬৬
১৬৭
১৬৮
১৬৯
১৭০
১৭১
১৭২
১৭৩
১৭৪
১৭৫
১৭৬
১৭৭
১৭৮
১৭৯
১৮০
১৮১
১৮২
১৮৩
১৮৪
১৮৫
১৮৬
১৮৭
১৮৮
১৮৯
১৯০
১৯১
১৯২
১৯৩
১৯৪
১৯৫
১৯৬
১৯৭
১৯৮
১৯৯
২০০
২০১
২০২
২০৩
২০৪
২০৫
২০৬
২০৭,ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্র। জননী জন্মভূমি স্বর্গ হইতেও শ্রেষ্ঠ। ভয় শোকে [কাতর] হইয়া পালাবার স্থান একমাত্র সত্য বই আর নাই। সকল লোকেই মরভূমের অধীন।সত্যই মরভূমের অতীত জানিবেন। অতএব সত্য আশ্রয় করিয়া থাকিতে চেষ্টা করাই জীবের স্বধর্ম্ম।
--- শ্রীশ্রী রামঠাকুর
বেদবানী ২য় খন্ড (২০৭)
২০৮
২০৯
২১০
২১১
২১২
২১৩
২১৪
২১৫
২১৬
২১৭
২১৮
২১৯
২২০





" আশ্রয় নিয়া ভজে, তারে কৃষ্ণ নাহি ত্যজে; আর সব মরে অকারণ।" এই দেহকেই সংঘাত বকিয়া বলে,তার কারণ নিত্য ক্ষয়শীল।ইহা হইতেই প্রয়োজন উতকর্ষণ হয়। (১/৩৬০)



বেদবানী প্রথম খণ্ড। বেদবানী প্রথম খণ্ড। Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on July 07, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.