ঠাকুর মহাশয়ের স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘকাল দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ টি সহসা চক্ষুষ্মান হইলেন । ........

 তুমিই কি রামসাধু ?

উত্তর এলো ,
আমার নাম শ্রীরামচন্দ্র চক্রবর্তী ।


দৃষ্টিহীন বৃদ্ধের অনুরোধের কথা শ্যামাচরণ চট্টপাধ্যায় ঠাকুর মহাশয়কে জানালেন ।
ঠাকুর মহাশয় শুধু শুনলেন ।
কোন উত্তর দিলেন ।
আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধটি শ্যামাচরণচট্টপাধ্যায়কে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করতেন । শ্যামাচরণও যথারীতি তার অনুরোধ
ঠাকুর মহাশয়কে জানাতেন ।
ঠাকুর মহাশয়ও শুনতেন । কিন্তু তিনি হ্যাঁ ,না ,
কিছুই বলতেন না ।
দিবানিদ্রার পরে একদিন অপরাহ্নে বৃদ্ধ ভদ্রলোকটি প্রশস্ত বারান্দায় একটি চেয়ারে বসে একাকী
তামাক সেবন করছিলেন ।
তার মনে হইল সন্নিকটে দাঁড়িয়ে কে যেন বলছেন , শ্যাম আমাকে আপনার সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন ।
কোন শ্যাম ? প্রশ্ন করলেন বৃদ্ধটি ।
উত্তর এলো , আপনার আত্মীয় ছয়গাঁও এর শ্যামাচরণ চট্টপাধ্যায়র ।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক শ্যামাচরণের পরিচয় পেলেন ,
কিন্তু আগন্তুকের পরিচয় না পেয়ে প্রশ্ন করলেন ,
তুমি কে ?
কি প্রয়োজনে এখানে আসা ?
উত্তর এলো , আমার নাম রাম ।
শ্যাম আমাকে অনেক দিন ধরেই আপনার কাছে আসার কথা কইছে ।
বৃদ্ধ প্রশ্ন করল , রাম ? কোন রাম ?
তুমিই কি রামসাধু ?
উত্তর এলো , আমার নাম শ্রীরামচন্দ্র চক্রবর্তী । কার্তিকপুরের ডিঙ্গামানিক আমার বাড়ী ।
হুক্কা কল্কি তাড়াতাড়ি সরিয়ে রাখলেন বৃদ্ধ ভদ্রলোক । আসেন , বলে ঠাকুর মহাশয় বৃদ্ধ ভদ্রলোকটির হাত ধরলেন ,
আপনার বাড়ীখানা একটু ঘুইরা দেখি ।
ঠাকুর মহাশয়ের স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘকাল দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ টি সহসা চক্ষুষ্মান হইলেন ।
দেখলেন তার সামনে দণ্ডায়মান শ্রীশ্রীরামঠাকুর কে । আনন্দের তুফান উঠল তার বক্ষজুড়ে ।
হাঁক ডাক করে বাড়ীর সকলকে ডাকলেন ।
বাড়ির সকলে তার দৃষ্টিলাভে পরমানন্দে অভিভূত ।
ঠাকুর মহাশয় বৃদ্ধটিকে হাত ধরে সারা বাড়ী ঘুরে
ঘুরে দেখালেন বহুক্ষণ ধরে ।
তার আর কি কি দেখার ইচ্ছা আছে ,তাও জানতে চাইলেন ঠাকুর মহাশয় ।
পুত্রদের তৈরি বাড়ীটি বার বার খুটে খুটে দেখার
সুযোগ পাওয়ার বার্দ্ধক্যের বলিরেখা চিহ্নিত তার মুখমন্ডল এই আশাতিরিক্ত ঠাকুর মহাশয়ের
দৃষ্টিদানে উজ্জ্বল ।
প্রসন্ন হয়ে তিনি বললেন , না ,
আর কিছু দেখার বাসনা তার নাই ।
ঠাকুর মহাশয় এখানে আসার পর থেকেই ,
দাঁড়িয়ে আছেন কিম্বা ঘুরছেন ।
এতক্ষণে বসলেন বাড়ীর সকালের অনুরোধে ।
বৃদ্ধ ভদ্রলোক যেন নবজন্ম লাভ করেছেন ।
চারিদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে নবীন জীবনের স্বাদ চেটেপুটে গ্রহণ করছেন ।
ঠাকুর মহাশয় কিছুক্ষণ সকলের সঙ্গে
কথাবার্তাও বললেন ।
তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন ,
এবার আমি আসি গিয়া ।
শ্যামেরে কইবেন।
জয়রাম ।
ফণীভূষণ চক্রবর্তী ,
" শ্রুতিতে রামঠাকুর "
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১০ হইতে ।
,
ঠাকুর মহাশয়ের স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘকাল দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ টি সহসা চক্ষুষ্মান হইলেন । ........ ঠাকুর মহাশয়ের স্পর্শের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘকাল দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ টি সহসা চক্ষুষ্মান হইলেন । ........ Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on June 20, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.