করুণাময়ের কৃপা দৃষ্টি ছাড়া এটা সম্ভব হত না।শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলা মাধুরীঃ~

 শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলা মাধুরীঃ~

শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলা মাধুরীঃ

আমার পরম করুণাময় গুরুদেব শ্রীশ্রীরামঠাকুর যিনি আমার মনের মণিকোঠার অধীশ্বর, তিনি অনুক্ষণ আমাদের সঙ্গে আছেন এবং আমাদের রক্ষা করছেন -
নানান রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এই বিশ্বাস আমার মনে দৃঢতর হয়েছে।
শিষ্য, ভক্ত, অনুরক্ত যাঁরা তাঁরা সকলেই শ্রীশ্রীঠাকুরের করুণা কিছু না কিছু অনুভব করেছেনই - এটা আমার বিশ্বাস।
আমার ছেলে ও.এন.জি.সি. তে ইঞ্জিনিয়ার।
সে বম্বে 'হাই' তে বদলী হয় এবং সেখানে আশ্চর্যজনক ভাবে শ্রীশ্রীঠাকুরের দয়া ও কৃপায় ওর জীবন রক্ষা পায়।


বম্বে 'হাই' তে ১৪ দিন জাহাজে কাজ আর ১৪ দিন ছুটি।
সমুদ্রে যেখানে ওদের প্ল্যান্ট সেখানে হেলিপ্যাড আছে। হেলিকপ্টারে করে ওরা বম্বে এসে প্লেন ধরে কলকাতায় আসত।
এইরকমই একদিন ওর ছুটিতে আসার দিন.....
যে হেলিকপ্টারটি ওদের নিতে আসবে সেটি যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য ওদের প্ল্যান্টে নামতে না পেরে অন্য প্ল্যান্টে গিয়ে নামল এবং ঐ প্ল্যান্টের কর্মীদের তুলে বম্বে রওনা হল।
স্বভাবতই আমার ছেলে ও অন্যান্য কর্মীরা খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ল।
১৪ দিন সমুদ্রে থাকার পর বাড়ী আসার আনন্দ নিভে গেল। এখন কি হবে.....?
চিন্তায় অস্থির হয়ে শ্রীশ্রীঠাকুরের চরণ শরণ করা ছাড়া ওর আর গতি ছিল না।
এইভাবে কিছুক্ষণ কাটার পর অন্য একটি হেলিকপ্টার এসে ওদের বম্বে বিমান বন্দরে এনে ছেড়ে দিল।
.....
পূর্বের হেলিকপ্টারটি - যাতে আমার ছেলের আসার কথা ছিল, ইতিমধ্যে সেটা অন্য প্ল্যান্টের মোট ১৮ জন কর্মীসহ সমুদ্রে ভেঙ্গে পড়ে এবং ৩/৪ জন ছাড়া বাকী সবাই মারা যায়।
দয়ালের অসীম করুণায় আমার ছেলের সেই যাত্রায় জীবন রক্ষা হল।
আরেকটি ছোট কাহিনী লিখছি--
আমাদের আত্মীয় দীপেশ গুহরায় ও তাঁর স্ত্রী ইন্দিরা আসানসোলে থাকতেন।
দুজনেই ছিলেন অতীব ঠাকুর ভক্ত এবং সর্বকার্যে শ্রীশ্রীঠাকুরের উপর নির্ভরশীল।
দীপেশ একবার ঠাকুর ভোগ দিতে মনস্থ করলেন।
তিনি বার্ন কোম্পানীতে উচ্চপদে কাজ করতেন।
অফিসের সবাইকে নিমন্ত্রণ করায় তাঁরা জানালেন যে তাঁরা কেউ আসতে পারবেন না।
কেননা সেদিন অফিসে বিশাল পার্টি আছে।
বিরাট খাওয়া দাওয়া, মজা সব থাকবে।
তবে তাঁরা এসে একসময় শ্রীশ্রীঠাকুর প্রণাম করে যাবেন।
.......
এমতাবস্থায় দীপেশ মাত্র ৬০ জনের মত আয়োজন করেছিল।
খুব ভালভাবেই পূজা, ভোগ, আরতি সব শেষ হল।
প্রসাদ বিতরণ চলতে লাগল।
বেলা গড়িয়ে চলল......
হঠাৎ দেখা গেল অফিসের প্রায় ৫০ জন লোক হুড়মুড় করে এসে হাজির।
তাঁরা বললেন--
"আমরা ঠাকুরেরই প্রসাদ খাব। অফিস পার্টিতে আর যাব না।"
দীপেশ কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে রান্নার লোকদের বলল-
"তোমরা যা পার করো, আমি কিছু জানিনা।"
আর শ্রীশ্রীঠাকুরের চরণে শূধু প্রার্থনা করতে লাগল--
"ঠাকুর, এই লজ্জার হাত থেকে আমাকে বাঁচাও.…"
৬০ জনের জন্য বানানো খাবার ১১০ জনকে পেট ভরে দেওয়া গেল এবং দয়াময় তাঁর ভক্তকে দারুণ লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন।
মানও বাঁচল.....বাঞ্ছাপূরণও হল.....
সবাই ঐ ভোগের প্রসাদ খেয়ে তৃপ্ত হয়ে বাড়ী গেলেন।
তার পরেও বাড়ীর সকলে ভালভাবেই প্রসাদ পেল।
অনেকে নিজ বাড়ীতে প্রসাদ নিয়ে গেলেন।
এই ঘটনায় সবাই ত হতবাক.....
ওরা স্বামী-স্ত্রী শ্রীশ্রীঠাকুরের দয়ার কথা চিন্তা করে বিস্ময়ে ও আনন্দে অভিভূত হয়ে গেল।
করুণাময়ের কৃপা দৃষ্টি ছাড়া এটা সম্ভব হত না।
জয়রাম।।জয়রাম
"অনুভবে তাঁরে পাই"
শ্রীমতী মঞ্জুলা বসু
করুণাময়ের কৃপা দৃষ্টি ছাড়া এটা সম্ভব হত না।শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলা মাধুরীঃ~ করুণাময়ের কৃপা দৃষ্টি ছাড়া এটা সম্ভব হত না।শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলা মাধুরীঃ~ Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on July 31, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.