শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন রোহিণীবাবুর সহিত রওনা হইলেন। তিনি দূর হইতে দেখিতে পাইলেন কেবলানন্দ স্বামী দাঁড়াইয়া আছেন। ঠাকুর তাঁহার নিকট পৌঁছিলে কেবলানন্দ স্বামী বলিলেন, আমি এই বাড়ি যাইব। ঠাকুরও স্বামীজির সহিত ভিতরে প্রবেশ করিয়া অন্তিম যাত্রীর শিয়রে গিয়া দাঁড়াইলেন। রোগিণীর জ্ঞান নাই। উর্দ্ধশ্বাস চলিতেছে, নয়ন মুদ্রিত, আসন্ন অন্তিম লগ্ন। ঠাকুর রোগিণীকে ডাকিলেন--
চাহিয়া দেখেন আপনার শিয়রে স্বয়ং শ্রীহরি দন্ডায়মান। রোগিণী চোখ মেলিয়া ঠাকুরের পানে তাকাইয়া ঠাকুরের ভুবনমোহন রুপ দর্শন করিলেন। তিনি পরম তৃপ্তির সহিত সুধাসমুদ্রে ভাসিতে ভাসিতে পরলোকে চলিয়া গেলেন। ঠাকুর লিখিয়াছিলেন, "সংসার ক্ষণভঙ্গুর, উদয় অস্ত গতি। স্থিতির অভাব থাকায় গুণ কর্ষণে নানান ভাবে জড়িত হইয়া জীবের সুখ দু:খ ভোগ করিতে হয়।"(বেদবানী ১/২৬১)।
সুতরাং সকল ভার গুরুর উপর ন্যস্ত করিয়া সংসার কার্য যাহা যখন উপস্থিত হয় তাহা করিয়া যাইবেন। তাহাতেই পরিণামে গুরুই উদ্ধার করিবেন। গুরুর ভরসা ছাড়া বর্ত্তমানে তপস্যাদির দ্বারা শক্তি আহরণ করিবেন তাহা কাহারও ক্ষমতা নাই। যিনি গুরু তিনিই কৃষ্ণ। গুরু কৃষ্ণ এক ও অভিন্ন। তাঁহাকে বিচ্ছিন্ন করিয়া জীব বিভ্রান্তির মাঝে পড়িয়া যায়। মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পতন।
জয় রাম,জয় রাম
ডা: খগেন্দ্রনাথ গুপ্ত
সুতরাং সকল ভার গুরুর উপর ন্যস্ত করিয়া সংসার কার্য যাহা যখন উপস্থিত হয় তাহা করিয়া যাইবেন।
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
June 14, 2021
Rating:
No comments:
sri sri Ramthakur