একজন ভদ্রমহিলা কিছু ফল ফুল নিয়ে এসেছেন। ঠাকুরকে প্রণাম করতে যেতেই তিনি কুঁজোর দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে সবকিছু ওইখানে দিতে বললেন। ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে আছেন ঠাকুর তখন বুঝিয়ে বললেন যে ওইখানে দিলে সবই ত্রিলোক প্রাপ্য হবে। ওইখানে ভক্তি করে প্রণাম করতে বললেন। ভদ্রমহিলা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। আগন্তুকের হতভম্ব হওয়ার কারণ তাঁর আর বুঝতে দেরী হলো না। ঠাকুর বললেন "ওই কুঁজোর মধ্যে সত্যনারায়ন আবির্ভাব হইছে। যা আনছেনওইখানে দেন। ওইখানে প্রণাম করেন।" বলে ঠাকুর নিজেও মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কুঁজোর দিকে প্রণাম করলেন। বছরখানেক ধরে যেমন চলছিল সেদিনও সন্ধ্যেবেলা সেইভাবেই সত্যনারায়ন পুজো হলো একটা জলচৌকির ওপর সির্ন্নি রেখে পাঁচালী পাঠ শেষ হওয়ার পর সকলে মিলে সির্ন্নি পেল।
দু এক দিন পর। সন্ধে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। ওকে ডেকে ঠাকুর বললেন, "সন্ধ্যা হইলেই দেখি ছায়ার মত ঘুইরা বেড়ায়। সময় সময় দেইখা আমি চমকাইয়া উঠি। পূজা করবেন না?" সত্যনারায়ণ পূজা ঠিক সন্ধ্যার সময় করার নিয়ম। সন্ধ্যে হয়ে গেছে। পূজা হয়নি। ঠাকুরের কথা শুনে কর্তা গিয়ে পাঁচালী পাঠ করতে বসলেন। সময়ানুবর্তিতা তাঁর বৈশিষ্ট্য। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দেবতা পুজোর সময় পুজো পাচ্ছে না এই বিশৃঙ্খলা দেখে তিনি সন্তুষ্ট হননি। তাঁর কথায় তিনি এও বুঝিয়ে দিলেন যে পুজোর সময় মত ঠিক সন্ধ্যাতেই করা উচিত। আমরা অনেক কথার উদ্দেশ্য বুঝিনা, আবার অনেক সময় বুঝলেও তাঁর কথা মতো কাজ করিনা।
।।জয় রাম জয় রাম।।
ঘরের ঠাকুর শ্রী রামচন্দ্র।
শ্রীমতি কিরণবালা মজুমদার।
No comments:
sri sri Ramthakur