কিন্তু কি আশ্চর্য্য এর পরে মন্ত্রের সেই বাণী আর শুনতে পেলাম না । তাই বলছিলাম নাম দেওয়া নেওয়ার মাঝে ঠাকুর একটা যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেন । জয় রাম ।

 



শ্যাম দা ( শ্রীমৎ শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় )শেষের দিকে শ্রীশ্রী ঠাকুরের নাতি প্রভুপাদ প্রমথ চক্রবর্ত্তী মহাশয়ের মাধ্যমে নাম দেওয়ার ব্যবস্থা করিতেন ।

: - - সদানন্দ চক্রবর্ত্তী ।
জয় রাম জয় গোবিন্দ

একদিন নাম দেওয়া প্রসঙ্গে সদানন্দ দা
যাহা বলিয়াছিলেন ,
শ্রীশ্রী ঠাকুরের আশ্রিত জনৈক ব্যক্তি ত্রিপুরা অঞ্চলে নাম দেওয়া শুরু করিলেন ।
ঠাকুর শ্রীদেহে চৌমুহনীতে বর্তমান তখনও ।
এই সংবাদ ঠাকুর মহাশয়কে জানাইলে তিনি বলিলেন , " পারমার্থিক নাম দেওয়া , বিনা পয়সায় রোগ নিরাময়ের গাছ গাছরার ওষুধ দেওয়া ভালো । "
প্রথম মোহন্ত মহারাজ নাম দিলেনই না ।
শ্রীঠাকুরের পীড়াপীড়িতেও না ।
দ্বিতীয় মোহন্ত মহারাজ শ্যাম দা ( শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় ) প্রথমে নাম দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিলে ঠাকুরের দৃঢ়তাপূর্ণ আদেশে নাম দিতে শুরু করলেন । শ্যাম দা শেষের দিকে শ্রীশ্রী ঠাকুরের নাতি
প্রভুপাদ প্রমথ চক্রবর্ত্তী মহাশয়ের মাধ্যমে নাম
দেওয়ার ব্যবস্থা করিতেন ।

তিনি তখন কেবল্যধাম আশ্রমেই বসবাস করিতেছিলেন ।
অবশ্য ঠাকুর বংশের সকলেই নাম দেওয়ার
অধিকারী একথা ঠাকুর স্বয়ং বলিয়া গিয়েছেন ।
এবার সদানন্দ দাদার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হইতেছে - - - -
" প্রথম প্রথম কাউকে নাম দিতে সাহস হইত না ।
বুঝা যায় কখনও কখনও নাম দেওয়া আর নাম পাওয়ার মাঝে শ্রীশ্রী ঠাকুর প্রচ্ছন্ন ভাবে একটা যোগাযোগের বাতাবরণ প্রস্তুত করে দেন ।
তবে শোন - - -
একদিন খুব ভোরে বাইরে তুলসী মঞ্চের লম্বা
চাতালে বসে আছি ,
হঠাৎই একটি মন্ত্র উচ্চারিত হচ্ছিল বার বার ।
প্রথমে উপেক্ষা করলাম ।

কিন্তু বার বারেই মন্ত্রের বাণী শুনতে পাচ্ছিলাম । কিছুতেই থামছে না ।
ঠিক সেই সময়েই পূর্ব পরিচিত একটি অল্প
বয়সী ছেলে এল ।
ওকে দেখে বললাম ,
কিরে এত সকালে কি মনে করে ?
ছেলেটা বললো , আপনাদের এখানে অনেক পুঁই শাকের চারা উঠেছে দেখেছি ,
কয়েকটি চারাগাছ নিতে এসেছি ।
আমি ওকে বললাম ,
তা বেশ তো যত ইচ্ছা নিয়ে যা ,
আচ্ছা তুই নাম নিবি ?
ছেলেটি সঙ্গে সঙ্গে বললো , হ্যা নেব ।
তখন কানে যে বাণী টি বার বার শুনছিলাম তাকেই দিলাম ছেলেটিকে ।
কিন্তু কি আশ্চর্য্য এর পরে মন্ত্রের সেই বাণী
আর শুনতে পেলাম না ।
তাই বলছিলাম নাম দেওয়া নেওয়ার মাঝে ঠাকুর একটা যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেন ।
জয় রাম ।
সদানন্দ চক্রবর্ত্তী ।
ছন্নাবতার শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৯৫-২৯৬ হইতে ।
কিন্তু কি আশ্চর্য্য এর পরে মন্ত্রের সেই বাণী আর শুনতে পেলাম না । তাই বলছিলাম নাম দেওয়া নেওয়ার মাঝে ঠাকুর একটা যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেন । জয় রাম । কিন্তু কি আশ্চর্য্য এর পরে মন্ত্রের সেই বাণী  আর শুনতে পেলাম না ।   তাই বলছিলাম নাম দেওয়া নেওয়ার মাঝে ঠাকুর একটা যোগাযোগ সৃষ্টি করে দেন । জয় রাম । Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on June 18, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.