প্রাণ কাঁদলে ঠাকুর কি আর থাকতে পারেন। ভক্তটির চোখ পড়ল বাইরের দিকে। অদ্ভুত দৃশ্য। ঠাকুর এগিয়ে আসছেন চতুর্দিকে ভক্তরা ঘিরে আছেন ছাতা ধরে। মুহূর্তে ঘটে গেল অঘটন। উল্কার মত ছুটে গেলেন ভক্ত। লুটিয়ে পড়লেন শ্রীশ্রীঠাকুরের চরন প্রান্তে। শুধু কি তাই?
টালিগঞ্জে থাকেন ঠাকুরের জনৈক ভক্ত। কাজ করেন শুল্কবিভাগে। উচ্চপদস্থ কর্মচারী। কন্ঠে তার সুর সুধা। কীর্তনে সুপটু।
সেদিন মনটা ভালো লাগছিল না ভাবলেন পূজো সেরে হারমোনিয়াম নিয়ে গান গাইবেন। কিন্তু কি হল? সামনে যন্ত্রটি রেখে বসে রইলেন। কোনোদিকে খেয়াল নেই। এ যেন ধ্যানতণ্ময় তপস্বী। মনের বীনায় নিয়ত ঝঙ্কৃত হচ্ছে ঠাকুরের নাম। বড় সাধ জাগল একবার তাকে দেখবার।
প্রাণ কাঁদলে ঠাকুর কি আর থাকতে পারেন। ভক্তটির চোখ পড়ল বাইরের দিকে। অদ্ভুত দৃশ্য। ঠাকুর এগিয়ে আসছেন চতুর্দিকে ভক্তরা ঘিরে আছেন ছাতা ধরে। মুহূর্তে ঘটে গেল অঘটন। উল্কার মত ছুটে গেলেন ভক্ত। লুটিয়ে পড়লেন শ্রীশ্রীঠাকুরের চরন প্রান্তে। শুধু কি তাই?
ঠাকুরকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে তুলে নিলেন কোলে। নিয়ে এলেন ঘরে। প্রক্ষালন করলেন পাদপদ্ম। বস্ত্রাঞ্চলে মুছিয়ে দিলেন। বসালেন আসনে। অশ্রুফুলের অর্ঘ্যে পূজো করলেন। ঠাকুরকে। ঠাকুর নীরব একটিও কথা নেই মুখে। তারপর করলেন আরতি। সবশেষে তার আজণ্মের আরাধিত পাদপদ্মে রাখলেন একটি প্রনাম। ঠাকুর বললেন, আমি এখন যাই।
লীলাময়ের লীলার অন্ত নেই। এবার ঠাকুরের সাথে সাথে ভক্তরা চলেছেন বাধা দিলেন ঠাকুর ।থাক যথেষ্ট হয়েছে, ঐ দস্যুটা যে আমাকে হরন করে নিয়ে গেল। রক্ষা করতে পারলেন না। এখন আপনারা যে যার পথ দেখুন। আমার সাথে যাবার কোন প্রয়োজন নাই। যেই নাম সেই নামী।
নাম নামী এক। গুরুরূপী গোবিন্দকে হৃদয়ে বেঁধে রাখতে হয় শক্ত বাঁধনে। ঝড়, বজ্রপাতে, রাখতে হয় সাবধানে অন্তর প্রদীপটি জ্বেলে। সে আলোতেই দেখাবে পথ। দিনকে দিন সাধক যাবে এগিয়ে। উত্তরন ঘটবে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর, সঙ্গমতীর্থে। তাইতো ঠাকুর নির্দেশ দিলেন সাধন জগতে এগিয়ে যাবার। দেহের মধ্যে রয়েছে ছয়টি রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মাৎসর্য। এরা সদাই শক্রর ভূমিকায় অবতীর্ণ। এদের হাত থেকে রক্ষা পাবার একমাত্র উপায় হল নাম।
নাম করতে করতেই ঘটে নামীর আভাস প্রকাশ। কাজেই নাম ও নামীকে অতি যত্নে করতে হয় লালন রক্ষণ। বাইরের বেষ্টনীতে নয় তাকে একান্ত করে ধরে রাখতে হয় প্রাণের পতিকর্ষে।
জয়রাম জয় জয় শ্রী রাম ঠাকুর এর জয়।
No comments:
sri sri Ramthakur