শ্রীশ্রী ঠাকুরের শ্রীপটের সম্মুখে যাহাই ভোগ দেওয়া হইয়া থাকে তাহা ঠাকুর যে গ্রহণ করেন এই ঘটনায় তাহাও প্রমাণিত , সত্য বলিয়াই জানা গেল ।
শিলচর বাসী ঠাকুরের আশ্রিতা জনৈক ভদ্রমহিলার চোখে এইবার ঠাকুর মহাশয়কে খুবই রুগ্ন এবং
অসুস্থ্য ঠেকিতেছিল ।
তিনি শ্রী ঠাকুরকে এর জন্য প্রশ্নও করিলেন ,
ঠাকুর মশাই আপনার একী চেহারা হয়ছে ?
খাওয়া দাওয়া ঠিকমত করেন না নাকি ?
এত অসুস্থ্য লাগছে কেন আপনাকে ?
ঠাকুর : হ , অপরের উচ্ছিষ্ট খাইয়া খাইয়া
আমাশা হইয়া গেছে আমার ।
আশ্রিতা : সেকি , আপনি উচ্ছিষ্ট খান কেন ?
ঠাকুর : কি করুম , আপনেরা যা দেন তা তো
খাইতে হয় । না খাইয়া তো পারি না ।
খাইতেই হয় ।
আশ্রিতা : আমরা উচ্ছিষ্ট দেই আপনাকে ! তার মানে ?
ঠাকুর : দেন না ? আপনার স্বামী রসপুলি
খাইতে ভালবাসেন , তাই স্বামীর লাইগ্যা
রসপুলি বানাইয়া আমারেও দেন ,
স্বামীর উদ্দেশ্যে বানাইলে তা উচ্ছিষ্ট হয় না ?
এই বলিয়া ঠাকুর মহাশয় চুপ হইয়া গেলেন ।
তাহা শুনিয়া ভদ্রমহিলা লজ্জিত যেমন হইয়াছেন , তেমনই নিজেকে অপরাধী মনে করিতে লাগিলেন । কারণ তিনি বাড়ীতে মাঝে মাঝে তাহার স্বামীর জন্য রসপুলি বানাইয়া থাকেন ।
রসপুলি তাহার স্বামীর বড় প্রিয় বস্তু ।
তাই ভদ্রমহিলা স্বামীর জন্য রসপুলি বানাইয়া
তাহা হইতে কিছু রসপুলি আলাদা বাটিতে তুলিয়া রাখিয়া পরে ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করিতেন
পূজার সময় ।
কাহারো উদ্দেশ্যে কোন আহার্য্য বস্তু বানাইয়া
তাহা ঠাকুরকে দিলে যে উচ্ছিষ্ট দেওয়া হয় এই বোধ তাহার ছিল না ।
তিনি ভাবিতে লাগিলেন সত্যিই তো ঠাকুরকে ভালবাসিয়া বা উদ্দেশ্য করিয়া রসপুলি বানাই না । ভদ্রমহিলা নিজেকে অপরাধী মনে করিয়া বারংবার ঠাকুর মহাশয়ের নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করিতে লাগিলেন ।
সংসারী ভক্তরা সচরাচর ভূল করিয়া থাকেন তাহা যেমন জানা গেল ।
তেমন শ্রীশ্রী ঠাকুরের শ্রীপটের সম্মুখে যাহাই ভোগ দেওয়া হইয়া থাকে তাহা ঠাকুর যে গ্রহণ করেন এই ঘটনায় তাহাও প্রমাণিত , সত্য বলিয়াই জানা গেল ।
জয় রাম
সদানন্দ চক্রবর্ত্তী ।
ছন্নাবতার শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
শ্রীশ্রী ঠাকুরের শ্রীপটের সম্মুখে যাহাই ভোগ দেওয়া হইয়া থাকে তাহা ঠাকুর যে গ্রহণ করেন এই ঘটনায় তাহাও প্রমাণিত , সত্য বলিয়াই জানা গেল ।
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
July 12, 2021
Rating:
No comments:
sri sri Ramthakur