রোহিণীবাবুর মনে সংশয়। ঠাকুরের আদেশও লঙ্ঘন করা যায় না। .......

 ঠাকুর রোহিণীবাবুর বাড়িতে অবস্থান করছেন মজঃফরপুরে।

...

ঘরে ঠাকুর বসে আছেন এবং রোহিণীবাবুর স্ত্রী, বোন এবং অন্যান্য কয়েকজন ঠাকুরের মুখ নিঃসৃত কথা শুনে যাচ্ছেন।

হঠাৎ টিনের ঘরে একটি বেশ বড় শব্দ হল, একটি কাক উচ্চ শব্দে কা কা করতে লাগল।

রোহিণীবাবু এলে ঠাকুর নির্দেশ দিলেন বাইরে কি পড়েছে দেখতে।

রোহিণীবাবু ঠাকুরকে জানালেন -- ঠাকুরমশায়, কি সুন্দর একখানি আমসত্ত্ব কাকটি মুখে করিয়া এখানে ফেলিয়াছে ।
ঠাকুর বললেন -- যেখানে কাকের ঠোঁটের দাগ পড়িয়াছে , শুধু সে জায়গাটা বাদ দিয়া আপনারা খান।
........
রোহিণীবাবুর মনে সংশয়।
ঠাকুরের আদেশও লঙ্ঘন করা যায় না।
এদিকে কাকের মুখের আমসত্ত্ব খেতেও ইচ্ছা যায় না।
তবু ঠাকুরের আজ্ঞা পালন হলো।
ভক্তবৃন্দ ঐ সুস্বাদু আমসত্ত্ব খেয়ে পরিতৃপ্ত হলেন।
আমসত্ত্বর প্রতিটি স্তরে রয়েছে দুধের সর, মিছরির টুকরো, আমের সুস্বাদু স্তর - যা অত্যন্ত উপাদেয়।
কিন্তু কোত্থেকে এল আমসত্ত্বটি ? কার নিপুণ হাতে তৈরি ?
কয়েকদিন পর আসল ঘটনা জানা গেল।
ঠাকুরের নামে মালদহ থেকে একখানা চিঠি এল। এই চিঠিখানির বক্তব্য এখানে তুলে ধরা হলো --
" ঠাকুর আপনি আমসত্ত্ব খাইতে চাহিয়াছিলেন।
অতি যত্নে এক মাস ধরিয়া একখানি আমসত্ত্ব প্রস্তুত করিয়াছিলাম। মনে করিয়াছিলাম, আপনি এখানে আসিলে ঐ আমসত্ত্বখানা আপনার ভোগে উৎসর্গ করিব।
অনেকদিন হইয়া গেল আপনি আসিলেন না।
পাছে আমসত্ত্ব টি নষ্ট হইয়া যায়, এই ভয়ে মধ্যে মধ্যে রৌদ্রে দিতাম। আজ আমসত্ত্ব খানি রৌদ্রে দিয়া কাক তাড়াইবার জন্য ঘরে একটা লাঠি আনিতে গিয়াছিলাম।
এরই মধ্যে একটি কাক আমসত্ত্বখানি লইয়া পলায়ন করিল।
আমার এই সাধের আমসত্ত্বখানি আর ঠাকুরের ভোগে দেওয়া হইল না।"
ঠাকুরের নামে উৎসর্গ করা কোনো খাবার বা বস্তু ঠাকুরকে মনে প্রাণে শ্রদ্ধাভরে নিবেদন করলে ঠাকুর নিজেই তা গ্রহণ করেন।
এই আমসত্ত্ব গ্রহণ তারই প্রমাণ।
-- দিব্য মহাপুরুষ "শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর" থেকে
রোহিণীবাবুর মনে সংশয়। ঠাকুরের আদেশও লঙ্ঘন করা যায় না। ....... রোহিণীবাবুর মনে সংশয়।  ঠাকুরের আদেশও লঙ্ঘন করা যায় না। ....... Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on July 20, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.