প্রাণ গোবিন্দ প্রাণ গোপাল—কেশবঃ মাধবঃ দ্বীনঃদয়াল
দ্বীনঃদয়ালু প্রভু দ্বীনঃদয়াল পরমদয়ালু প্রভু পরমদয়াল
গুরুর নামোঃ বৈ কেবলম্ — গুরুই কৃপাহি্ কেবলম্।।।।
"ভগবানের নাম আর রূপ একই বস্তু জানিয়া কেবল নাম নিয়া পড়িয়া থাকিবেন। ভগবান উদ্ধার করিয়া নিবেন। সর্ব্বদা নাম করিবেন, নামেতে সকলই আছে জানিবেন। কর্ত্তৃত্ব দ্বারা যাহা কিছু সুখ দুঃখ হয় তাহা নিত্য নয়, কেবল পরিবর্ত্তনশীল, ঐ সকল সুখের দুঃখের জন্য প্রলোভিত না হইয়া সর্ব্বদা নাম মুগ্ধার প্রলোভন রাখিতে চেষ্টা করিবেন। নামই সত্য, দেহ যতদিন থাকিবে ততদিনই প্রাক্তনের আধিপত্য, তারপর ভগবানের নিকট প্রারব্ধের কোন ক্ষমতা থাকে না।
[]বেদবাণী -২য় -খণ্ড-৭[]
[]শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর।[]
“ ভগবানের সেবা পরিচর্য্যাই ধৈর্য্য ধরিয়া নামের নিকট সর্ব্বদা থাকা। যেই নাম সেই ভগবান। যদি নামই ভগবান হইল, তবে যেখানে নাম হয় সেইখানকেই বৃন্দাবন বলিতে হয়। ব্রজবাসীর কোন কর্ম্মে বেদবিধির প্রয়োজন হয় না। ভগবানের নিকট থাকিলে কোন অভাবও হয় না। ভ্রমবশতঃ কর্ত্তা হইয়া ভগবানকে ছাড়িয়া অপূর্ণ কামের দ্বারা আবৃত হইয়া নানা উপাধীর সৃষ্টি করিয়া শান্তি ও অশান্তির যোগে পরিয়া সুখী দুঃখী হয়। অতএব সর্ব্বদা নামের আশ্রয় নিয়া সকল কার্য্য যথাসম্ভব করিয়া যাইবেন, মন স্থির হউক আর চঞ্চলই হউক। সুখী না হইলেও নাম করিতে ভুলিবেন না।
"শ্রীশ্রী রামঠাকুর।।
"বেদবাণী ২য় খণ্ড ৯০"
“ বলং বলং বাহুবলম্। উদ্যোগভাবে [?] চেষ্টা করিলেও ফলাফল ভাগ্যানুসারেই হইয়া যায়। চেষ্টা করিবেন, কাহারো মুখাপেক্ষায় থাকিতে নাই। •••••সংসার মায়াময়, সময় অনুসারে বর্ত্তমানে নাম ভিন্ন আর কেহই সাধ্যপরা হইতে পারে না।”
বেদবাণী - ২/২১৬
শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর।
” ভগবান ছাড়া এই দেহ বিবর হইতে উদ্ধারের আর কোন পথ নাই। মায়ার আঁচে পরিয়া দিবারাত্র অহংকার অভিমানে মুগ্ধ থাকিয়া কেবল অস্থায়ী সুখের জন্য পিপাসা করে। সেই পিপাসায়ই মন এবং বুদ্ধি উৎপন্ন হয়। যখন ভগবানের সান্নিধ্য লাভ হয় তখন মন বুদ্ধি থাকে না। যেই নাম সেই ভগবান। নাম পাইলেই ভগবানের পাওয়ার অভাব নাই। গুণ হইতে মায়ার উদ্ভব হয়, সেই মায়াই অভাব। অভাবই সুখ দুঃখের পরিচয় দিয়া অসত্যের অনুচর করিয়া দেয়। অতএব নাম যখন পাইয়াছেন তখন যে অবস্থাই হউক না, এই দেহ ত্যাগের পর নিত্যধামে স্থিতি হইবেই নিশ্চয়। ঐশ্বর্য্য নিয়া ব্রজে যাইতে পারে না, ব্রজভূমি কেবল মাধুর্য্যময়। সেখানে সুখ দুঃখের রীতি নাই, মন বুদ্ধিরও গতি হয় না। কেবল নাম নিয়া পড়িয়া থাকিবেন। পরের সুখের জন্য লোভ করিতে নাই। নামের সুখেরই আহ্বান করিবেন।
[]শ্রীশ্রী রামঠাকুর[]
[]বেদবাণী ২য় খণ্ড-৮৯
"সংসার তরঙ্গ নানান ।এই তরঙ্গ হইতে নির্ম্মল অন্তরঙ্গে থাকিলে যে অবস্থা হইবে তাহাই কৈবল্য ধাম জানিতে হয় ।ইহাই " জ্ঞান""শূন্য ভাবিত ভাবাত্মা পুণ্য পাপৈর্বিমুচ্যতে"এইশ্লোকটি সতত হৃদয়ে জাগরণ করাই ভগবানের কীর্তন।আপন শরীরকে বিন্দু জ্যোতির্ময় কিরণ বিশিষ্ট ভাবনা করিয়া শুন্যতে মন অর্থাৎ কোন অবলম্বনে না রাখিয়া থাকার নামই প্রণব, সংসার তারণ শক্তি, যাহাকে ব্রহ্মবীজ বলে।ইহারই উদয় উন্মুখ গায়ত্রী, ইহাই বেদমাতা অর্থাৎ সর্ব্বপ্রকাশ গুণাদি সাধ্য শক্তি ।এই গায়ত্রীই শূন্যভাবে থাকার অবস্থা,অতএব সতত এই গায়ত্রী জপ করিবেন ।
(বেদবাণী)
(২য়-খণ্ড-১৩৭)
২/২২০। “ লোকসকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে আকৃষ্ট হইয়া ধনী, মানি, দেহ গেহ, বিদ্যা বুদ্ধি, শক্তি সামর্থ্য, শত্রুমিত্রাদি নানান উপাধী সম্বলিত হইয়া থাকে, তজ্জন্যই লোকে প্রকৃতির গুণের তারতম্য গতির ভাগে পড়িয়া ভোগ ভুগিতে বাধ্য হইয়া থাকে। ভগবান, যাঁহাকে জন্মমৃত্যুরহিত অখণ্ডস্বরূপ বলিয়া মুনি ঋষিগণ নিশ্চয় করিয়াছেন, তাঁহানকে, লোক সকল ভুলিয়া, স্বয়ং কর্ত্তা হইয়া, কর্ম্মপাশে আবদ্ধ হইয়া, কার্য্যকারণ কর্ত্তৃত্বের আওতায় পড়িয়া স্ব স্ব ভাগ্যানুফল উপলব্ধি করে। কর্ম্মফল দাতা একমাত্র সত্যই হ'ন, অসত্য যে অস্থায়ী, যাহাকে লোক ভাগ (অংশ) বলিয়া উপাধি করেন, সেই ভাগ ত্যাগ ব্যতীত সত্যকে উপলব্ধ করিতে পারে না। এই সত্যনারায়ণের সেবায় রত থাকিতে থাকিতে অসত্য (অস্থায়ী, যাহারা ঘুমের ঘোরে থাকে না) তাহাদের [?] বাদ করিয়া সেই সত্যকে পাইতে পারে। কারণ সত্য ব্যতিত স্থায়ী এবং নিত্য আর কিছুই নাই।”
"লোকের যখন যাহা কিছু ঘটিয়া থাকে সকলি ভাগ্যযোগ জানিবেন ।সত্যনারায়ণের ভাগ নাই,তাঁহার সকল অবস্থাই পূর্ণ জানিবেন ।তাঁহার আশ্রয় নিলে কোন অভাব কি অপূর্ণ থাকে না জানিবেন।,,,ভাগ্যই সকল করিবেন।
(বেদবাণী -২য় খণ্ড -১৪৯)
( শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর)
বেদবাণী - ২/২১৬,বেদবাণী -২য় -খণ্ড-৭,বেদবাণী ২য় খণ্ড ৯০,বেদবাণী - ২/২১৬,বেদবাণী ২য় খণ্ড-৮৯
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
July 25, 2021
Rating:
No comments:
sri sri Ramthakur