কিন্তু রামঠাকুর তাহাদের ঘৃণা করা দূরে থাকুক, বরং সন্তোষের সহিত নিজে রাঁধিয়া তাহাদের অতি যত্নে আহার করায়, এবং মাতাল হইয়া পড়িলে তাহাদের আপন মাতা কি ভগিনীর শুশ্রূষা করে।"

 প্রাণ গোবিন্দ প্রাণ গোপাল—কেশবঃ মাধবঃ দ্বীনঃদয়াল

দ্বীনঃদয়ালু প্রভু দ্বীনঃদয়াল পরমদয়ালু প্রভু পরমদয়াল
গুরুর নামোঃ বৈ কেবলম্ — গুরুই কৃপাহি্ কেবলম্।।।।


নাম হইল গুরুকৃপা। কৃপা শব্দ হইছে, কৃ ধাতু দিয়া; কৃ অর্থ করা। পা অর্থ পাওয়া। পূর্ণ অর্থ হইল কইরা পাওয়া। তোমরা তোমাগ ভাগ্যানুসারে সুখ, দুঃখ, শান্তি, অশান্তি, ধনজন, প্রভাব, প্রতিপত্তি, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, দারিদ্র লাভ কর। তোমরা মনে করলে কি হইব, গুরু কখনও ঐশ্বর্য দেন না। ঐশ্বর্য দিয়া ব্রজের পথ বিলম্বিত করেন না। ঐশ্বর্য নিয়া ব্রজে যাইতে পারে না। গুরু দিতে আসেন না, গুরু আসেন নিতে। সেইজন্য বিরজ করাই গুরুর একমাত্র ধর্ম, কর্ম। এই গুরু কৃপার প্রকাশ হইল সদগুরু।
সূত্রঃ রাম ভাই স্মরণে -ফণীন্দ্রকুমার মালাকার



.............................................................................................................................................................................................................


"নোয়াখালী হইতে ঠাকুর ফেনীতে বদলি হইয়া গেলেন। সে সময় সরকারী গারদখানা তৈয়ার হইতেছিল। ঠাকুর জনৈক অভারসিয়ারের অধীনে ওয়ার্ক সরকারের কাজে নিযুক্ত হইয়া ফেনীতে গিয়াছিলেন। কবিবর "নবীনচন্দ সেন মহোদয় সে সময় মহকুমা হাকিমের পদে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁহার লিখিত "আমার জীবন" আত্নকাহিনীতে আমরা ঠাকুরের জীবনবৃত্তান্ত কিছু কিছু জানিতে পারি। ঐ গ্রন্হের চতুর্থ অধ্যায়ের শ্রীশ্রীরামঠাকুর সম্মন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তাঁহার কিয়দংশ নিম্নে উদ্ধৃত করা হইলঃ 🙏


ফেনীর রামঠাকুরের কথা বলিয়া ইহার উপসংহার করিব। রামঠাকুরের বয়স ২৬/২৭ মাএ। ফেনীতে যে জেলখানা প্রস্তুত হইতেছিল, রামঠাকুর তাহার সরকার হইয়া আসিল। লোকে বলিতে লাগিল যে, কখনও তাহাকে গৃহে আহ্নিকে দেখিয়াছে এবং পরের মুহূর্তে রামঠাকুর অদৃশ্য হইয়াছে। কেহ তাঁহাকে রাএি শেষে রক্তচন্দন চর্চিত অবস্হায় কোনও বৃক্ষ হইতে অবতরণ করিতে দেখিয়াছে। সর্প দংশন করিতে,গরু-মহিষ মারিতে আসিতেছে, আর রামঠাকুর বারণ করা মাএ চলিয়া গিয়াছে।"

"নিজে কিছুই আহার করে না। কদাচিৎ দুগ্ধ বা ফল আহার করে। অথচ তাহার সবল সুস্হ শরীর। পরসেবায় তাঁহার পরমানন্দ। জেলখানায় ইটখোলার গৃহে পাবলিক ওয়ার্ক প্রভুদের বারাঙ্গনাগণ কখন পালে পালে উপস্হিত হয়। কিন্তু রামঠাকুর তাহাদের ঘৃণা করা দূরে থাকুক, বরং সন্তোষের সহিত নিজে রাঁধিয়া তাহাদের অতি যত্নে আহার করায়, এবং মাতাল হইয়া পড়িলে তাহাদের আপন মাতা কি ভগিনীর শুশ্রূষা করে।"


🙏 জীবন কথা 🙏
........................................................................................................................................................................................................
কিন্তু রামঠাকুর তাহাদের ঘৃণা করা দূরে থাকুক, বরং সন্তোষের সহিত নিজে রাঁধিয়া তাহাদের অতি যত্নে আহার করায়, এবং মাতাল হইয়া পড়িলে তাহাদের আপন মাতা কি ভগিনীর শুশ্রূষা করে।" কিন্তু রামঠাকুর তাহাদের ঘৃণা করা দূরে থাকুক, বরং সন্তোষের সহিত নিজে রাঁধিয়া তাহাদের অতি যত্নে আহার করায়, এবং মাতাল হইয়া পড়িলে তাহাদের আপন মাতা কি ভগিনীর শুশ্রূষা করে।" Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on June 28, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.