"সংসার ক্ষণভঙ্গুর, উদয় অস্ত গতি। স্থিতির অভাব থাকায় গুণ কর্ষণে নানান ভাবে জড়িত হইয়া জীবের সুখ দু:খ ভোগ করিতে হয়।।
সত্যনারায়ণের সেবায় ত্রিলোকের সমস্ত গুণ পরিশোধন হইয়া থাকে। অঋণস্থ হইলে পরিগ্ৰহশূন্য হয়। অপ্রবাসী হইয়া অবিয়োগ সত্যকে লাভ করিয়া থাকে। শুদ্ধ ভক্তিই সত্যনারায়ণ, সংশয় নাই।
ধৈর্য্য-ধীরের ভাব।ধৈর্য্য ও ধর্ম্ম উভয় একার্থবোধক। অর্থাৎ ধরে থাকা।ধৈর্য্য ধরিয়া নামের কাছে থাকা।ধৈর্য্যই ধর্ম্ম -ধৈর্য্যই কর্ম্ম-ধৈর্য্যই ভগবান ।চিত্তকে স্হির করিবার অভ্যাসই ধৈর্য্য।নামের উপর নির্ভরতা না আসিলে ধৈর্য্য লাভ হয় না।
প্রাণ গোবিন্দ প্রাণ গোপাল—কেশবঃ মাধবঃ দ্বীনঃদয়াল
দ্বীনঃদয়ালু প্রভু দ্বীনঃদয়াল পরমদয়ালু প্রভু পরমদয়াল
গুরুর নামোঃ বৈ কেবলম্ — গুরুই কৃপাহি্ কেবলম্।।।।
মৃত্যুকালে শ্রীহরি রূপে স্বয়ং ঠাকুরঃ
শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন রোহিণীবাবুর সহিত রওনা হইলেন। তিনি দূর হইতে দেখিতে পাইলেন কেবলানন্দ স্বামী দাঁড়াইয়া আছেন। ঠাকুর তাঁহার নিকট পৌঁছিলে কেবলানন্দ স্বামী বলিলেন, আমি এই বাড়ি যাইব। ঠাকুরও স্বামীজির সহিত ভিতরে প্রবেশ করিয়া অন্তিম যাত্রীর শিয়রে গিয়া দাঁড়াইলেন। রোগিণীর জ্ঞান নাই। উর্দ্ধশ্বাস চলিতেছে, নয়ন মুদ্রিত, আসন্ন অন্তিম লগ্ন। ঠাকুর রোগিণীকে ডাকিলেন--
চাহিয়া দেখেন আপনার শিয়রে স্বয়ং শ্রীহরি দন্ডায়মান। রোগিণী চোখ মেলিয়া ঠাকুরের পানে তাকাইয়া ঠাকুরের ভুবনমোহন রুপ দর্শন করিলেন। তিনি পরম তৃপ্তির সহিত সুধাসমুদ্রে ভাসিতে ভাসিতে পরলোকে চলিয়া গেলেন। ঠাকুর লিখিয়াছিলেন, "সংসার ক্ষণভঙ্গুর, উদয় অস্ত গতি। স্থিতির অভাব থাকায় গুণ কর্ষণে নানান ভাবে জড়িত হইয়া জীবের সুখ দু:খ ভোগ করিতে হয়।।
(শ্রীশ্রী ঠাকুর)
(বেদবানী ১/২৬১)
জয়রাম।
(বেদবানী ১/২৬১)
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
June 28, 2021
Rating:
No comments:
sri sri Ramthakur