ভগবান সবই জানেন, সবই বোঝেন, সবই পারেন, তাই তিনি সর্বজ্ঞ। কারও আসল বা প্রকৃত অভাব তিনি অপূর্ণ রাখেন না। পূর্ণ করেন।

 নামের প্রভাব কি যার প্রভাবে যমরাজও হার মানেন ?


অনেক বছর আগের কথা। কোন এক দেশের খুব ভাল রাজা ছিলেন। প্রজার দুঃখে তাঁর প্রাণ কাঁদতো। তাঁর একটাই ভাবনা রাজত্ব কাকে দেবেন। ছেলে নেই মেয়ে নেই তার মৃত্যুর পর প্রজাদের দেখবে কে ?
ভগবান সবই জানেন, সবই বোঝেন, সবই পারেন, তাই তিনি সর্বজ্ঞ। কারও আসল বা প্রকৃত অভাব তিনি অপূর্ণ রাখেন না। পূর্ণ করেন।
........


ভগবানের আশীর্বাদে কিছুদিন পর রাজার এক ছেলে হলো। রাজপুত্র ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলো। যেমন তাঁর রূপ তেমন গুণ। রাজপুত্রের যখন সাত বছর বয়েস, ভাগ্য বিচারে এলেন রাজ জ্যোতিষী। জ্যোতিষী তাঁর ভাগ্য বিচার করে বলেন "শাস্ত্র আর অস্ত্রে রাজপুত্রকে কেউ হারাতে পারবে না। তবে তাঁর আয়ু কম। বেশী দিন বাঁচবেন না।" জ্যোতিষীর কথা শুনে, রাজা - রাণী আর প্রজাদের মন থাকে আনন্দ চলে গেল। ছোট্ট রাজপুত্রের কোন দুঃখ নেই। তিনি মনের আনন্দে বন্ধুদের সাথে শাস্ত্র শেখা, অস্ত্র চালাতে শেখা, ঘোড়ায় চড়া ও খেলায় মেতে রইলেন।




বেশ কিছুদিন পরের কথা, কি ভাবে কেউ জানেন না, রাজপুত্র একদিন জানতে পারলেন তার মৃত্যুর দিন ও সময়। রাজপুত্র কিন্তু তাঁর বাবা, মা, বন্ধু - বান্ধব, কাউকে জানতে দেন নি। এবার রাজপুত্র শুরু করলেন নতুন এক ব্রত। সেই ব্রতের নাম "অতিথি সেবাব্রত"। এই ব্রতের নিয়ম, বাড়িতে যখন যে অতিথি আসুক না কেন দেবতার মত ভক্তির সাথে তাঁর সেবা করতে হবে। - "অতিথি সেবাব্রতের" নিয়ম মেনে রাজবাড়ীতে রোজ যে অতিথি আসতেন, রাজপুত্র নিজে তাঁকে ডেকে এনে ঘরে বসাতেন। পা ধুইয়ে দিতেন। পাখা দিয়ে বাতাস করতেন। অতিথিদের কাছ থেকে নানা দেশের নানান কথা শুনতেন। নিজে দাঁড়িয়ে থাকে ভাল ভাল খাওয়াতেন। অতিথিরা খুশী হয়ে রাজপুত্রকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করে যেতেন। এমনি ভাবেই "অতিথি সেবাব্রত" আর শাস্ত্র শিক্ষায় রাজপুত্রের দিন কাটে। মৃত্যুর দিন এক পা, দু পা, করে এগিয়ে আসে।

.................
মৃত্যুর দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেন রাজপুত্র। সূর্য তখনও ওঠেনি। রাজপুত্রের স্নান শেষ। পরনে তাঁর নুতন কাপড়। তিনি এবার শুরু করে দিলেন অভিনব এক যজ্ঞ।
এই যজ্ঞের নাম " নামযজ্ঞ।" এই যজ্ঞের প্রভাবে সমস্ত দেবদেবী এসে উপস্থিত হলেন। ডুবে গেলেন 'নামে'। যমরাজও যমদূতদের নিয়ে হাজির হলেন রাজবাড়ীতে। তাঁর মনের ইচ্ছা, সময় হলেই রাজপুত্রকে নিয়ে যাবেন যমপুরীতে। এই বাড়িতে এসে যমরাজ আর যম দূতেরা মেতে উঠলেন 'নামযজ্ঞে'। ভুলে গেলেন তাঁদের কাজ। রাজপুত্রের মৃত্যুর সময় কখন যে পেরিয়ে গেছে যমরাজের তা খেয়াল নেই।' নামযজ্ঞ' শেষ হতেই, যমরাজের মনে পড়ল রাজপুত্রকে যমপুরীতে নিয়ে যাওয়ার কথা।তিনি মনে মনে ভাবেন, 'না এখন তো তা' সন্ভব নয়, সময় পেরিয়ে গেছে '। এখন কি করি ? সবাই ভাববে যমরাজেরও ভুল হয় ? তিনি রাজপুত্রকে নিতেই আসেননি'। -- আসল ঘটনা হল 'নামের প্রভাব' যার প্রভাবে যমরাজও হার মানেন।
.............................................
..... যমরাজের আরেক নাম ধর্মরাজ। তিনি সবার জন্য যে নিয়ম করেছেন সেই নিয়ম তিনি নিজেও মেনে চলেন। তাই সময় যখন পেরিয়ে গেছে তাঁর পক্ষে আর রাজপুত্রকে যমপুরীতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে যমরাজ যে রাজপুত্রকে নিতে এসেছিলেন তার প্রমাণ, তিনি রাজপুত্রকে আশীর্বাদ করে কপালে এক টিপ দিয়ে গেলেন। যমরাজের পর, 'নামযজ্ঞে' উপস্থিত সমস্ত দেবদেবী একে একে রাজপুত্রকে আশীর্বাদ করে কপালে টিপ পরিয়ে দিলেন।
...
যমরাজ ও সমস্ত দেবদেবীর আশীর্বাদ আর তাঁদের দেওয়া টিপ মিলিয়ে যত হয়েছিল তত বছর রাজপুত্র বেঁচে ছিলেন, সুখে শান্তিতে। দেবদেবীর আশীর্বাদে কোন কিছুর অভাব রইলো না সেই রাজ্যে। প্রজারাও মনের আনন্দে আর নির্ভয়ে বাস করতে লাগলেন।
'' এই হইল নামের মাহাত্ম্য। ''
"শ্রীশ্রীরামঠাকুরের বলা গল্প শুনি হইতে লেখা
facebook courtese....
...............................................................................
ভগবান সবই জানেন, সবই বোঝেন, সবই পারেন, তাই তিনি সর্বজ্ঞ। কারও আসল বা প্রকৃত অভাব তিনি অপূর্ণ রাখেন না। পূর্ণ করেন। ভগবান সবই জানেন, সবই বোঝেন, সবই পারেন, তাই তিনি সর্বজ্ঞ। কারও আসল বা প্রকৃত অভাব তিনি অপূর্ণ রাখেন না। পূর্ণ করেন। Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on June 29, 2021 Rating: 5

No comments:

sri sri Ramthakur

Powered by Blogger.