বেদবাণী প্রথম খণ্ড, (৫)নং পত্রাংশ ,শ্রীশ্রী রামঠাকুর।
এ সংসারে কোন মাত্র সত্যের বন্ধনে থাকাই পরম তত্ত্ব, পরমপদ, ইহা বই জগতে কিছুই নাই। সংসার নিত্যানিত্যের তরঙ্গ, এই তরঙ্গ হইতে নিষ্কৃতির জন্য অভিমানের সত্ত্বাকে মার্জ্জনা করিতে হয়। “জীবে দয়া, নামে রুচি, বৈষ্ণব সেবন, ইহা বই কিছু নাই শুন সনাতন”। এই শব্দটি সকল জীবের পক্ষেই কণ্ঠহার। ঐহিক সুখ আর দুঃখ সকলই ক্ষণভঙ্গুর। ক্ষমাই দয়ার আধার, ত্যাগই সত্যের সার, পবিত্রতাই ধর্ম্ম। যাহাতে মনের কোন রকম অশান্তি, মলিনত্ব না হয় তদ্বিষয়ে সহিষ্ণুতা দ্বারা মার্জ্জনা করাই উচিত। ক্ষণিক সুখে মজিয়া থাকিলে পরে পরিণাম দুঃখই থাকে, পরিত্রাণের জন্য অবশিষ্ট সুখরূপ সত্যের লেশও থাকে না। ঐহিক সুখে মত্ত হইয়া কৃত ধর্ম্ম নষ্ট করিতে নাই।
বিনা ভাড়ায় পরের ঘরে বাস করিতে হইলে ঘরের বেগ সহ্য করিতে হইবেই। লোকের দেহই বন্ধন। এই দেহকেই বাসনাময় বলিয়া থাকে। এই দেহকে মুক্ত করিতে চেষ্টা যাহা করিতে হয় তাহা কেবল ভগবানের শরণ বই আর কিছুই নয়। সাধ্য সাধনে নিষ্কৃতি হয় না। অতএব সর্ব্বদাই বাসনা পূর্ণের চেষ্টা না করিয়া তাহাদের দৌরাত্ম্য যথাসম্ভব ভোগের ভোগ করিতে হয়। প্রারব্ধ বশতঃই লোকে ভোগ হইয়া থাকে। ভাগ্য অনুসারে সুস্থ অসুস্থ দায়ে দায়ী হইতে হয়। প্রারব্ধই তাহার কারণ। আরোগ্য ও আরোগ তাহা হইতেই হইয়া থাকে, নচেৎ জীবের শক্তি নাই।
বেদবাণী প্রথম খণ্ড, (১৬) নং পত্রাংশ ,শ্রীশ্রী রামঠাকুর।
সর্ব্বদা স্বকৃত কর্ম্মানুসারে যত্নবান থাকিয়া নিত্য তৃপ্তিকর ভগবৎ সেবার শক্তি আহরণের প্রতিক্ষা করিতে হয়। অর্থাৎ সকল ভার ভগবানে দিয়া ভাগ্যানুযায়ী কর্ম্মক্ষেত্রের আয় অনুসারে ব্যয় করিয়া ধীর ধৈর্য্যশক্তির দ্বারা পরম পদ লাভ করিতে পারা যায়। পথের সহায় সর্ব্বশক্তিমান ভগবান নির্লিপ্ত শক্তি বিতরণ করিয়া থাকেন, তাহার সাহায্যে এ ভবসংসারের আবরণ কাটাইয়া নিষ্কৃতিলাভ করিতে পারা যায়।প্রারব্ধের ভোগ কাটে কি না ইহা অনেকের প্রশ্ন, ইহার উত্তর এই যে একমাত্র ভোগের দ্বারা উহার নিবৃত্তি হয় ৷ যোগবলে অথবা অন্য উপায়ে উহাকে সরাইয়া ফেলা যায়, ইহা সত্য, কিন্তু তাহা সঙ্গত নহে; কারণ এই দেহ অনিত্য বলিয়া কোন না কোন সময় উহার ত্যাগ অবশ্যম্ভাবী, দেহত্যাগ হইলেই ঐ শুন্যস্থিত বিতাড়িত কর্ম্মগুলি আকর্ষণবলে আবার আত্মাকে দেহ গ্রহণ করিতে বাধ্য করিবে ৷ জীব যখন সংসারে আসে তখন স্বীকারপত্র দিয়া আসে, তাই তাহাকে নিজের প্রাপ্য ভোগ করিতেই হয় ৷ যে তাঁহার শরণাগত তাঁহাকে তিনি ঐ দেহেই সমস্ত ভোগ করাইয়া দেন, পরে কাছে লইয়া যান, আর তাহাকে আসিতে দেন না, তাহার কোন ভোগ বাকী থাকে না ধৈর্য্যের সহিত প্রারব্ধ ভোগ করা উচিত, বাধা দিতে নাই, বাধা দিলে ভোগ কাটে না ৷ একমাত্র অণুগত হইলে প্রারব্ধ কাটিতে পারে-প্রারব্ধ কাটিবার দ্বিতিয় কোন উপায় নাই-শ্রীশ্রীরামঠাকুর
......................................................................................................................................................................................................
সংসার অচির, অস্হায়ী, এই দেহ পরিগ্রহকেই সংসার উপাধি বলিয়া থাকে। ইহাই অনিত্য অস্হায়ী জরা প্রকৃতির দ্বারা সংমিলনী শক্তি, এই সংসার মুক্তির ব্যবস্থা করিতে একমাএ পতিভক্তি পতি অনুশীলন ভিন্ন ভোগ নিবৃত্তি ঘটিতে পারে না। কর্ওৃত্বাভিমানী সৃএে জগৎকে ভ্রান্তি জন্মাইয়া আকর্ষণ বিকর্ষণ করিয়া থাকে বলিয়াই ইহার ব্যবস্হাকে মায়ামৃগ বলিয়া জানে। এই সংসারে শুভ অশুভ উভয়ই কৃষ্ণ ভক্তির বাধক জানিয়া তাহাদের উদয় অস্ততে উদ্বিগ্ন কি হর্ষ করিবে না। এই জন্যই সর্ব্বদা অদৃষ্ট ভোগের দায় জন্য সহিষ্ণু হইয়া নিত্য সেবায় যত্নবান হইতে চেষ্টা করাই পরম আশ্রয়। স্বভাবে যেমন ভাগ্য উল্লাস উপস্হিত করিবে। তুমি কর্ওা নও ইহাই তোমার জানিবার প্রয়োজন। তাহারই উদ্বার জন্য ব্যবস্হা করিবে। নয় মন কি বুদ্ধির উদ্বার করিবার তোমার কি শক্তি বর্ত্তমান আছে? ভগবান যাহা ব্যবস্হা করিয়া দেন তাহাতেই সন্তোষ থাকিতে চেষ্টা করিবে।।
বেদবানী ১ম খণ্ড /২৬০
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
উলুবনে মুক্তা ছড়াইয়া গেলাম ।
কোন এক জহুরী মুক্তা কুড়াইয়া লাইব!শ্রীগুরু বাক্যে অন্ধ বিশ্বাস করিতে হয়।শ্রীশ্রী রামঠাকুর
"""""""""""""শ্রীগুরু বাক্যে অন্ধ বিশ্বাস করতে হয়।
শ্রীশ্রী রামঠাকুর বলেছেন ,
কালে এক মহাপুরুষ আইসা ধরার ভার লাঘব করব ।
লাঘব করব ।
ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ সব দুর হইব চিরতরে!শ্রীশ্রী রামঠাকুরের ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী
শ্রীশ্রী ঠাকুরের পরম ভক্ত প্রবর ডঃ প্রভাত চন্দ্র চক্রবর্তী
মহোদয় ১00 বৎসর পর ঐ মহাপুরুষ হয়ে
এ ধরাধামে অবতীর্ণ হবেন এবং সময় প্রায় আগত ।
হয়ত ২০৪৫/২০৫০ এর মধ্যে জন্ম নেবেন ।
আমাদের ভাগ্যে দেখা হবে না ।
পরবর্তী জেনারেশন দেখতে পাবেন!তিনি এলেই শ্রীরামের মহিমা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে
তখন ধর্মে ধর্মে দ্বন্দ সব বিলীন হবে চিরতরে!সারা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করবে।ঐ মহাপুরুষের বাণী সবাই শুনবেন ও তাঁরই শ্রীচরণে সবাই লুটিয়ে পরবে!শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী অব্যর্থ ।
এ দৃঢ় বিশ্বাস সবাই রাখুন ।
কোন কোন পুণ্যবান শ্রীশ্রী রামঠাকুরের মহিমার পূর্ণ
আস্বাদন অবশ্যই করবেন ।
ঠাকুর প্রসঙ্গ!
(হরিদ্বার শ্রীশ্রী রামঠাকুর আশ্রমের
<,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বেদবাণী 

" ভগবৎ শরণ-এই সংসারে নিত্য,নিরঞ্জন ধৈর্য্য স্থায়ীরুপে জাগাইতে চেষ্টা করাই পরম উপাসনা। সর্ব্বদা যাহাতে অকর্ত্তা বুদ্ধির গোচরে যাওয়া যায় তৎপক্ষে নিত্য চেষ্টা করাই স্বধর্ম্ম জানিবেন।..চিন্তা করিবেন না।
মন বুদ্ধিতে যাহা প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত দ্বারা সুখ দু:খ,ভাব অভাবাদি উৎপন্ন হয় তাহার সকলি স্বপ্ন জানিবেন,এবং ভ্রান্তিমূলক মাত্রা ক্ষর পদার্থ-অতএব সুখে দু:খে লাভে অলাভে সমং কৃত্বা কার্য্য করিবে। ফলাফলে যাইতে নাই।যখন যে অবস্থা সেই অবস্থায়ই ভগবৎ শরণ লইতে যাইবে। "
বেদবানী ৩য় খন্ড(৫৯)
.........................................................................................................................................................................................................
জয়রাম
জয় গুরু
জয় রাম
বেদ বাণী প্রথম খন্ড (৭৯) সংসার মায়াময়। যাহাতে মমতা অর্থাৎ অহং জ্ঞান কর্তৃত্বাভিমান হৃদয়ের অন্তরে থাকে তাহাই ভজনা।এই জন্যই গুরু প্রকরণ আশ্রয় করিয়া সকল ভার ভগবানকে দিয়া সংসারের বাধা অর্থাৎ ঋণ সকল যাহাতে শোধ করিতে পারা যায় তাহারই অনুষ্ঠানে ব্রতী থাকি বেন ।ভগবান সংসারের আবরণ সকল অচিরেই নাশ করিয়া কুরুবদ্ধ পান্ডবদের ন্যায় মুক্ত করিয়া নির্মল করিবেন। চিন্তা নাই। জয় রাম শুভ রাত্রি।





..................................................................................................................................................................................................
No comments:
sri sri Ramthakur