পরদিন ২১ শে চৈত্র প্রাতঃকাসে ঠাকুর জিঞ্জাসা করিলেন , রাজসূয় যঞ্জে মালশা ভোগ দেন নাই ?প্রমথবাবু জানাইলেন , " হ্যাঁ বাবা , মালশা ভোগ দেওয়া হয়েছে। "
রামভাই স্মরণে
পরদিন ২১ শে চৈত্র প্রাতঃকাসে ঠাকুর জিঞ্জাসা করিলেন , রাজসূয় যঞ্জে মালশা ভোগ দেন নাই ?প্রমথবাবু জানাইলেন , " হ্যাঁ বাবা , মালশা ভোগ দেওয়া হয়েছে। "
প্রদোষে সত্যনারায়ণ পূজা আরম্ভ হইয়া
৯টায় পূজারতি ও ভোগ ----অন্তে রাত্রি ১২ টা পর্যন্ত শিন্নি প্রসাদ বিতরণ শেষ হইল। কিয়ৎ পরিমাণ শিন্নি প্রসাদ রাত্রিতে দিবার জন্য প্রসাদদাতা কর্মীদের নিকট মহাপ্রসাদের স্থানে রাখা হইল।
রাত্রি ১০ টার সময় ঠাকুর শাড়িখানি ও অষ্টধাতু ----নির্মিত ত্রিশূলটি দিতে আদেশ করিলেন।
বড়দা শাড়িখানি ও ত্রিশূলটি আনিয়া খাটের উপর ঠাকুরের সাননে রাখিলে ঠাকুর পিতাঠাকুরকে বলিলেন , রাত্রি ১১ টায় ভোগ নিবেদন করবার সময় ফলসমেত শাড়িখানাও নিবেদন করবেন এবং বিল্ববৃক্ষতলে ভোগ দিতে ত্রিশূলটি দিয়া দিবেন।
তাঁরা আজ বিদায় হইয়া যাইবেন। এই বলিয়া ঠাকুর পিতাঠাকুরের হাতে শাড়িখানা ও ত্রিশূলটি দিলেন। রাত্রি ১১টায় হরিমন্দিরের সামনে। উপবিষ্ট দেবীকে ফল ও শাড়িখানি নিবেদন করিয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন।
আমরা। সকলেও সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলাম।
রাত্রি ১২টায় পিতাঠাকুর ফল ও ত্রিশূলটি জটাজুটমন্ডিত সাধুকে নিবেদন করিয়া সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলেন।
আমরা সকলেও সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিলাম।
খুব জমজমাট কীর্তন চলিতেছিল ! বহু সাধু , সন্ন্যাসী , আউল , বাউল , উদাসী , পাগল , পাগলী কীর্তনে যোগদান করিয়াছেন।
কেহ নৃত্য করিতেছে , কেহ বেসুর কীর্তন করিতেছে , কেহ হাসিতেছে , কেহ কাঁদিতেছে ,কেহ গড়াগড়ি দিতেছে ,কেহ চীৎকার করিতেছে , কেহ বমি করিতেছে।
কর্মীরা অম্লানবদনে সব উপদ্রব সহ্য করিতেছে।
রাত্রি দেড়টায় ঠাকুর পিতাঠাকুরসহ বাহির হইয়া সাতবার কীর্তন প্রদক্ষিণ করিয়া সাধু , সন্ন্যাসী , উদাসী , পাগল , পাগলীদের প্রতি কিছুক্ষণ তাকাইলেন।
পরে হরিমন্দিরের সামনে দেবীর নিকট যাইয়া জোড় হাতে উভয়ে উভয়ের প্রতি কিছু সময় দৃষ্টি বিনিময় করিয়া সহাস্যে ঠাকুর তথা হইতে বিল্ববৃক্ষতলে সাধুর নিকট যাইয়া করজোড়ে নির্নিমেষ নেত্র উভয়ে উভয়ের প্রতি তাকাইয়া থাকিলেন।
সাধু বরাভয় হস্ত উত্তোলনপূর্বক হাসিয়া উঠিলে ঠাকুরও হাসিয়া স্থান ত্যাগ করিয়া ঘরে ফিরিলেন। ভোর চারিটায় যাহাই দেখি সাধু তিন জন ও দেবী কখন চলিয়া গিয়াছেন।
কীর্তনে যত সাধু , সন্ত , উদাসী , পাগল প্রভৃতি ছিল তাঁহাদের কেহই নাই। গুরুভ্রাতারা ঠাকুরের আদেশ লইয়া নগর পরিক্রমায় বাহির হইয়া প্রয় দুই ঘণ্টা পর কীর্তনাঙ্গনে ফিরিয়া আসিয়া নামযঞ্জ সমাপ্ত করিলেন।
এবার শুরু হইল নন্দ--- উৎসব ওরংদোলের খেলা। বেলা প্রায় ৮টার সময় অবর্ণনীয় লীলাখেলা সাঙ্গ হইল।
পরদিন ২১ শে চৈত্র প্রাতঃকাসে ঠাকুর জিঞ্জাসা করিলেন , রাজসূয় যঞ্জে মালশা ভোগ দেন নাই ?প্রমথবাবু জানাইলেন , " হ্যাঁ বাবা , মালশা ভোগ দেওয়া হয়েছে। "
ফণীন্দ্রকুমার মালাকার
পৃষ্ঠা ৯৩ বই ৯৪বই।
পরদিন ২১ শে চৈত্র প্রাতঃকাসে ঠাকুর জিঞ্জাসা করিলেন , রাজসূয় যঞ্জে মালশা ভোগ দেন নাই ?প্রমথবাবু জানাইলেন , " হ্যাঁ বাবা , মালশা ভোগ দেওয়া হয়েছে। "
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
July 01, 2021
Rating:
No comments:
sri sri Ramthakur